বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর। মাঝে আরো ৪ দিন বাকি। ক্রিকেটের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী ম্যাচের আগের দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন দলপতি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মাশরাফির কথা বলার সম্ভাব্য আরো একটি দিন ছিলো ৬ ডিসেম্বর বিকেএসপিতে। ওই দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে মাঠে নামবেন টাইগার দলপতি।
তাই অনেক সংবাদকর্মীরই প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন খেলোয়াড়ি জীবন শেষের আগেই রাজনীতিতে নামা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন করবেন মাশরাফিকে। তাদের সেই প্রত্যাশার খোড়াক আগেই মিটিয়ে দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সোমবার রাতে এক মেইল বার্তায় বিসিবি জানায় মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পুলিশ কন্ট্রোলরুমে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিপুলসংখ্যক সংবাদকর্মীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় শুরু হয় সংবাদ সম্মেলন, চলে ২টা ২৪ মিনিট অবধি। যেখানে ক্রিকেট ছাপিয়ে প্রাধান্য বিস্তার করলো মাশরাফির রাজনীতিতে নামার প্রসঙ্গ।
বেশ বাঁকাচোরা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় নড়াইল এক্সপ্রেসকে। তবে বাঁকা প্রশ্নের সোজাসাপ্টা জবাব দিয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে ফেলেছেন মাশরাফি। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সংযত হয়ে।
নির্বাচনে আপনার দল না জিতলে আপনার ওপর দমন-পীড়ন আসতে পারে, তখন কী করবেন? এমন প্রশ্নের কূটনৈতিক জবাব দেন মাশরাফি। তিনি বলেন, “হতে পারে, তবে কালকে আপনার জীবনে কী ঘটবে আপনি জানেন না। আমার জীবনে কী ঘটবে সেটাও আমি জানি না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আপনি ক্লিয়ার মাইন্ড নিয়ে যাচ্ছেন কিনা। আমি শুধু নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কালকে আমার সাথে কী হবে সেটা জানি না। তাই এতকিছু ভাবার সুযোগ নাই।”
‘কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দেশ নিয়ে কথা বলেননি।’ এমন প্রশ্নের মোকাবেলায় মাশরাফি বলেন, “এত গভীর রাজনীতি আমি করিনি, জানিও না। যেটা পরিষ্কারভাবে বললাম, আমার উদ্দেশ খুব সিম্পল, যেটা মানুষের জন্য করে শান্তি পাই। আমাকে যদি ডিপ লেভেলের পলিটিশিয়ান ভাবেন, সেটা আমি এখনো হয়তোবা হইনি। সো আমাকে ওই পর্যায়ে ভাবলে আমার প্রতি অবিচার হবে। আমার অভিজ্ঞতাটা একদমই নতুন। তবে আমি যেটা বলেছি, ভালো কাজ করতে চাই। সেটা হয়তো সামনে দেখা যাবে কতটুকু করতে পারি।”
কী ভেবে নির্বাচনে এলেন? এ প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর মাশরাফির। তিনি বলেন, “আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচীন টেন্ডুলকার, না আমি ম্যাকগ্রা যে, আমার কথা মানুষ স্মরণ রাখবে। আমি আমার মতো করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার স্ট্রাগলিং লাইফে যতটুক পেরেছি খেলেছি। তবে আমি সবসময় উপভোগ করেছি, মানুষের জন্য কাজ করতে পারা। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। যেই সুযোগটা আমি বললাম, প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে, বৃহৎ পরিসরে যদি কিছু করা যায়।”